আজ ১৫ মার্চ জেলা প্রশাসক রংপুর এর সম্মেলন কক্ষে বিশ্ব ভোক্তা দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে রংপুর জেলা প্রশাসন এবং সহযোগিতায় ছিল রংপুর বিভাগীয় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। অনুষ্ঠানে রংপুর জেলা প্রশাসক মো. রাহাত আনোয়ারের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রংপুর বিভাগীয় কমিশনার কাজী হাসান আহমেদ। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর রংপুর বিভাগীয় কার্যালয়ের উপপরিচালক খন্দকার মোহাম্মদ নূরুল আমিন আমিন। সভায় উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক, প্রাণিসম্পদের উপপরিচালক, মৎস্য দপ্তরের জেলা মৎস্য কর্মকর্তা, সিভিল সার্জন, আঞ্চলিক বেতার কৃষি অফিসার, জেলা মাকেটিং অফিসারসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাগণ। বিশ্ব ভোক্তা অধিকার দিবসের এবারের প্রতিবাদ্য হলো- এন্টিবায়োটিকযুক্ত খাদ্যকে না বলুন। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপক বলেন বর্তমানে মোট উৎপাদিত এন্টিবায়োটিকের অর্ধেক ব্যবহার হয় কৃষি ক্ষেত্রে। সারা বিশ্বে ক্রমাগতভাবে মানুষ বাড়ছে, বাড়ছে আমিষ গ্রহণের মাত্রা। ২০০৫ সালে বাংলাদেশে আমিষ গ্রহণের মাত্রা ছিল মাথাপিছু দৈনিক ৫৩ গ্রাম। বর্তমানে তা বৃদ্ধি পেয়ে ৬৮ গ্রামে উপনীত হয়েছে। সময়ের ব্যবধানে বৃদ্ধি পেয়েছে আমিষের ব্যবহার। পাশাপাশি ব্যবহার বাড়ছে এন্টিবায়েটিকের। মাছ, মাংস, দুধ ও ডিম খাদ্য হিসেবে ব্যবহারের ক্ষেত্রে প্রতিটি এন্টিবায়োটিকেরই একটি প্রত্যাহারকাল রয়েছে। এ প্রত্যাহারকালের মধ্যে প্রাণিজাত ডিম, দুধ,ও মাংস খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করা যায় না। প্রধান অতিথি বলেন শুধু দুধ, ডিম, মাছ ও মাংসের মাধ্যমে আমাদের দেহে এন্টিবায়োটিক অনুপ্রবেশ করে তা নয়। বরং এন্টিবায়োটিক প্রয়োগকৃত গবাদি পশুর মল-মূত্র সরাসরি কৃষি খামারে ব্যবহার করা হলে উৎপাদিত কৃষিজাত শাক-সবজিতে এন্টিবায়োটিক বর্তমান থাকার প্রমান পাওয়া গেছে বলে উল্লেখ করেন।